
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাপান শাখা।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তাং : ২০২৪-১১-০১
বিষয়: গত ২৯শে অক্টোবর ২০২৪ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপি জাপান শাখার আংশিক ৬ সদস্য বিশিষ্ট পকেট কমিটির আত্মপক্ষ সমর্থনের কাল্পনিক ও বিকারগ্রস্ত প্রতিবাদ প্রসংঙ্গে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে বিশেষ প্রস্তাবনা।
যথাযথ সম্মানের সাথে স্বরণ করছি মহান স্বাধীনতার ঘোষক,বীর মুক্তিযোদ্ধা,বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে এবং বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল এবং পূর্ন আস্থা পোষন করছি।
“তোমরা জেনে শুনে সত্যকে গোপন করনা এবং সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকোনা” -সুরা বাকারা, আয়াত ৪২।
আমরা প্রথমেই অতি স্পষ্ট ভাষায় বলছি যে, গত ২৯.১০.২০২৪ তারিখে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জনাব ডঃ সাকিরুল ইসলাম খাঁন নিজের লোক দিয়ে কল্পনা প্রসুত: আমাদের প্রতি যে অসৌজন্যমূলক , অভদ্র ও মিথ্যা কথার ফুলঝুড়ি যেমন: কতিপয় বিপথগামী, পদলোভী, স্বার্থ হাসিল, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ইত্যাদি শব্দ মালা দিয়ে আক্রমন করেছেন আমরা তা অত্যন্ত নিন্দা ও ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষান করছি।
প্রথমত: ডঃ শাকিরুল ইসলাম- আপনি দলের গঠনতন্ত্র অধ্যায় ধারা ৫ (খ ) লঙ্ঘন করে সবকিছু জেনে শুনে, কেন্দ্রে তথ্য গোপন করে এমন সদস্য কে পকেট কমিটিতে আত্ত্বীকরন করেছেন যিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করা সত্ত্বেও কমিটির মুল্যবান পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন এবং বীর বিক্রমে কমিটির পদ আক্রে ধরে আছেন। এটি একটি আইন বিরোধী ও অন্যায়।
(জাপানের আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব বৈধ নয়)
প্রসংগত আপনারা উল্লেখ করেছেন যে আপনাদের কমিটি সুনামের সাথে কাজ করে আসছে । সে কাজগুলো কি কি? আমরা জানতে চাই।
আপনারা আরো উল্লেখ করেছেন যে ,৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করার প্রাক্কালে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সকল নেতৃবন্দের সাথে আলাপ আলোচনা করা হয় । এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা । সাবেক সভাপতি ও সাবেক কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বৃন্দের সাথে এমন কি দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথেও কোন রকম আলাপ আলোচনা করা হয়নি। প্রমান থাকলে কত তারিখে, কোথায়, কত জন নেতাকর্মী নিয়ে মত বিনিময় করে ছিলেন তাহা প্রমাণ সহ প্রকাশ করতেন। আপনারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন, এটা অতি দুঃখ জনক।
বাস্তবে সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব এ্যাডভোকট জনাব রুহুল কবির রিজভী সাহেবের নির্দেশনা অমান্য করে, নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে আপনি জনাব ডঃ শাকিলুর ইসলাম অসাংগঠনিক ভাবে ৬ সদস্য বিশিষ্ট পকেট কমিটি অনুমোদন করান এবং দুই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আমরা ২০২৩-১০-২ তারিখে ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি , কমিটির অসাংগঠনিক কর্ম-কান্ড সম্পর্কে ও জাপান বিএনপিকে সুসংগঠিত করার জন্য বহিঃবিশ্বের সকল নেতৃবন্দকে অনুরোধ করি।
উল্লেখিত ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি বাতিল ও সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার জন্য অনুরোধ করে গত ২০২৪-০৪-২১ তারিখে আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় জনাব তারেক রহমান বরাবর একটি আবেদন পত্র পেশ করি। যার অনুলিপি দেওয়া হয়েছিল যথাক্রমে :
১. মহাসচিব
জনাব ফকরুল ইসলাম আলমগীর
২. সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
জনাব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ
৩. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
জনাব মাহিদুর রহমান
৪. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
জনাব আনোয়ার হোসেন খোকন
৫. সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
জনাব ডঃ শাকিরুল ইসলাম খাঁন
৬. সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
বেবী নাজনীন
এবং ২০২৪ -০৫-১৫ তারিখে লিখিত ভাবে সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জনাব শাকিরুল ইসলাম শাকিল কে ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য অনুরোধ করি এবং দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্নানিত নেতৃবৃন্দদেরকেও অবহিত করা হয়।
প্রসংগত উল্লেখ করা যায় যে, এই পকেট কমিটির সদস্য ও কিছু সংখ্যক কর্মী জাপান কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে এবং কমিউনিটির সর্বজন প্রসংশনীয় বৈশাখী মেলায় নিয়মিত কোন না কোন কারনে ঝগড়া,বিবাদ ও মারামারিতে লিপ্ত হন। এইসমস্ত কর্মকান্ড জাপান কমিউনিটিতে দলের ইমেজ নষ্ট করা হচ্ছে। জাপান কমিউনিটি এই পকেট কমিটির এহেন কর্মকান্ডে তাদেকে বয়কট করার আলোচনা সচরাচর শুনা যাচ্ছে।
১২ই জুলাই ২০০৫ সনে বিএনপির চেয়ারপারসন এবং তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাপান সরকারের আমন্ত্রণে জাপান আসেন এবং সে সময় তিনি জাপানের টোকিও ইকেবুকোরোতে স্থায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। আওয়ামী লীগ পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর দেশনেত্রী জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম ফলকটি আওয়ামী গুন্ডা-পান্ডারা গায়েব করে ফেলেন। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় হচ্ছে আপনারা সেই নাম ফলকটি আজ পর্যন্ত পুনঃ প্রতিস্থাপন করতে পারেন নি।
দীর্ঘ দিন জনাব শাকিরুল ইসলাম শাকিল কে তাঁদের অনিয়মের কথা বার বার বিভিন্ন নেতাকর্মী বলার পরও কোন রকম প্রদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই বা আলাপ আলোচনার জন্যও বসেন নাই।
এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, বিএনপির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সমন্বয় কমিটির সময় নেতাকর্মী বিভিন্ন অনুদানের টাকা উনার কাছে জমা করেন। জমাকৃত টাকার সঠিক ব্যবহার ও ব্যাখ্যা কোন নেতাকর্মী আজ পর্য্যন্ত পাননি। প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও দলীয় কোন কর্মসূচীতে তাঁকে কখনো পাওয়া যায়নি।
সাবেক কমিটি দীর্ঘ ১২ বছর বহাল ছিল যাহা জাপান বিএনপি নেতাকর্মীদের বহু আন্দোলন, সংগ্রামের পর বিলুপ্ত হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার আত্মকেন্দ্রিক মন-মানসিকতা, রাজনৈতিক সচেতনতার অভাবে আসে আবার ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক পকেট কমিটি যা জাপান বিএনপি শাখার সর্ব স্তরের নেতাকর্মীদেরকে আবারও মর্মাহত করে।
মীর রেজা দীর্ঘ ১৭ বছর সাধারন সম্পাদক ছিলেন আঞ্চলিকতার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে। সেই মীর রেজাকেই আবার দলের সভাপতি করা হয়। দলের স্বার্থে নেতাকর্মী দুই বছর নিরব ছিল। তার বিরুদ্ধে গত ১৭বছরে বহু অভিযোগ ছিল যা সবাই অবগত। স্বৈরাচার,গণহত্যাকারী,ফ্যাসিষ্ট,আওয়ামী হাসিনার কোন প্রতিবাদ তো তার facebook -এ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনো দেখি নাই। প্রচার করেছেন শুধু বিভিন্ন লোকদের সাথে তাদের জন্ম দিনের বাহারি রঙ্গীন ছবি।
এটা তো কোন রাজনৈতিক নেতার কাজ নয়। নারায়ণগঞ্জের ক্যাডার, সন্ত্রাসী, ফ্যাসিষ্ট,খুনী হাসিনার পালিত সন্ত্রাসী শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান জাপানে আসলে ডবল ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন বিএনপির সভাপতি।
১৯৯৬ সালে জাপান আওয়ামীলীগের সম্মেলনে পদ পদবীর জন্য মানুষ খুন করে। খুনের দায়ে ৮ বছর জেল খাটা আসামী, দলে অনুপ্রবেশ কারী হলেন জাপান বিএনপির সাধারন সম্পাদক।
এই হল আমাদের জাপান বিএনপি।
তাই বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কমিটির অপকর্ম ও অনিয়ম গুলি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণীকে জানানোর চেষ্টা করেছি।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সবার প্রিয় নেতা কর্মীদের আপনজন জনাব রুহুল কবির রিজভী সাহেবের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনী সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে জাপান বিএনপির কমিটি চুরান্ত করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছিএবং এক তরফা কোন কমিটি অনুমোদন যেন না করা হয় সেই আরজি পেশ করছি ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব আমির খসরু মাহমুদ সাহেব বলেছেন মেধাভিত্তিক রাজনৈতি চর্চা করতে হবে । মেধাবিরা পদে আসবেন । জাপান বিএনপিতে এখন মেধার আকাল ও মেধাহীন রাজনীতির জয় জয়াকার তাই মেধাভিত্তিক রাজনীতি চালু করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি ।
নিম্মে পুনরায় আমাদের সকলের প্রস্তাবনা উল্লেখ করছি:
১) ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক ব্যর্থ কমিটি দ্রুত বিলুপ্তী করন।
২। সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি জাপান শাখার নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করন।
৩। দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাকিরুল ইসলাম শাকিলকে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করন।
অতএব, দলীয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি দেশ, দল ও গনতন্ত্রের স্বার্থে বিষয়টি জরুরি বিবেচনা করত: প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন ও দিক নির্দেশনা দিন।
নিবেদক,
কর্মী ও সমর্থক বৃন্দ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি)
জাপান শাখা।